দীর্ঘ ১ মাসের স্থবিরতা কাটিয়ে পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। এদিকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবারও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে পর্যটন ব্যবসায়।এর আগে গত ৬ অক্টোবর অনিবার্য কারণ দেখিয়ে ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটকদের বান্দরবান ভ্রমণে বিরত থাকার নিদের্শনা দেয় জেলা প্রশাসন। এই ঘোষণায় বান্দরবানের পর্যটক ভ্রমণে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এতে পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে জেলার পর্যটন ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা।এদিকে, ৭ নভেম্বর থেকে আবারও বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি ও বান্দরবান সদর ও নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্র পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করার ঘোষণায় নব উদ্যামে কাজ শুরু করে হোটেল-মোটেল-রিসোর্টসহ সকল পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
পার্বত্য জেলা বান্দরবান ভ্রমণে পর্যটকদের জন্য বিশেষ ছাড়ের ঘোষণি দিয়েছে পর্যটন ব্যবসায়ীরা। ৭ নভেম্বর থেকে আগামী ৩১ নভেম্বর বান্দরবান ভ্রমণে সকল পর্যটকদের জেলার সকল আবাসিক হোটেলে ৩৫ শতাংশ, রিসোর্টে ২৫ শতাংশ, রেষ্টুরেন্টে ১০ শতাংশ এবং পর্যটকবাহী জীপ, মাহিন্দ্র ও সিএনজি চালিত টেক্সিগুলো ২০ শতাংশ ছাড় দেয়া হবে বলে জানায় পর্যটন ব্যবসায়ীরা।বান্দরবান জেলা পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের নেতারা জানান, বান্দরবানে প্রতিদিনই প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটে। তাদের বিনোদনে আরও নতুন মাত্রা যোগ করতে ছাড়ের ঘোষণা দেয়া হলো। সেইসঙ্গে সব পর্যটন কেন্দ্রগুলো ও সকল আবাসিক হোটেল-মোটেল ও রির্সোটসহ সর্বক্ষেত্রে আরও নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য প্রশাসনসহ সব পর্যটন ব্যবসায়ীরা সচেষ্ট রয়েছে।
এদিকে, পর্যটকদের বান্দরবান ভ্রমণে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার পাশাপাশি পর্যটকদের ভ্রমণ আরও আনন্দদায়ক করতে পর্যটনকেন্দ্রগুলোকে আরও আধুনিকায়ন করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন। তিনি জানান, পর্যটকদের বান্দরবান ভ্রমণে সর্বোচ্চ ছাড় আর সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করছে প্রশাসন।পর্যটন সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, আবারও পর্যটকে মুখরিত হবে পার্বত্য জেলা বান্দরবান।